আমরা যদি ছেলেদের ঘড়ির ডিজাইন ও দাম সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে প্রথমে ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করব।
কারণ আমরা যখন একটা ঘড়ি চয়েজ করি তখন ওই ঘড়িটির ডিজাইন এবং কোয়ালিটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
ডিজাইন এবং কোয়ালিটি দুটোই ঘড়ির ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে। যাইহোক সেগুলো আপনারা এই পোস্টটি পড়তে পড়তে বুঝতে পারবেন।
বর্তমানে ঘড়ি হাতে পড়া শুধুমাত্র সময় দেখার জন্য নয়। এটা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। সেই সাথে মানুষটিকে তার ফ্যাশনের সাথে একটা ধারণা দেয়।
যাতে করে অন্য কেউ সেই ব্যক্তিটাকে দেখলে তার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পায়। যেমন ধরুন, ছেলেটা কেমন তার চলাফেরা কেমন হতে পারে কিংবা তার রুচিবোধ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
তাই একটা মানুষ যখন ঘড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঘড়ি পছন্দ করবে তখন সে অনেকগুলো দিক খেয়াল রাখে।
এর মধ্যে প্রধানত থাকে ঘড়িটার ডিজাইন। এবং হাতে কেমন মানাবে তা দেখা। এবং পরবর্তীতে আছে ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটি। চলুন এবার আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
ছেলেদের ঘড়ির ডিজাইন ও দাম
ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই ঘড়ি ব্যবহার করলেও ঘড়িগুলোর ডিজাইন এবং কোয়ালিটি সেই সাথে রুচিবোধ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
যদিও আজকের এই পোস্টটিতে আমরা ঘড়ির দাম এবং ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করব সেজন্য আজকে আমরা শুধুমাত্র ছেলেদের ঘড়ি নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের হাতে ব্যবহৃত ঘড়িগুলোর অনেকগুলো ডিজাইন হতে পারে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ডিজাইন গুলো হলো ক্লাসিক্যাল ডিজাইন, স্পোর্টস ডিজাইন, লাক্সারি ডিজাইন এবং স্মার্ট ওয়াচ।
আজকে আমি এখানে প্রতিটা ডিজাইনের সাথে সাথে এই ডিজাইনগুলোতে সবচেয়ে জনপ্রিয় কোন কোন ব্র্যান্ড আছে এবং এই ঘড়িগুলোর প্রাইস রেঞ্জ কত থেকে কত টাকার মধ্যে হতে পারে তা জানানোর চেষ্টা করব।
ক্লাসিক্যাল ডিজাইন
ক্লাসিকাল ডিজাইনের ঘড়িগুলো সাধারণত খুবই সাদামাটা হয়ে থাকে। এবং এই ঘড়িগুলোর ডিজাইন কখনো ট্রেন্ড ফলো করে না।
মানে বর্তমান বিশ্বে যে ট্রেন্ডের গুড়ে সবচেয়ে বেশি চলে ক্লাসিক্যাল ডিজাইনগুলো তা ফলো করে না।
এ ডিজাইনগুলো সব সময় এদের মত তৈরি হতে থাকে এবং ডিজাইনগুলো প্রায় একই রকম। বছরের পর বছর ধরে তাদের ডিজাইনগুলো একই রকম থাকে।
তবে এই ক্লাসিক্যাল ডিজাইনের ঘড়িগুলোতে ব্যবহৃত উপকরণ গুলো খুবই হাই কোয়ালিটির এবং প্রিমিয়াম লুকিং হয়ে থাকে।
মানে তাদের ডিজাইনগুলো খুবই সিম্পল থাকে তবে প্রতিটা উপকরণ খুবই দামি হয়ে থাকে।
এবং এই ডিজাইনগুলো সাদামাটা হওয়ায় আপনি যে কোন অনুষ্ঠানে কিংবা প্রতিদিন ব্যবহারের জন্যও এই ডিজাইনের ঘড়িগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আবার ক্লাসিক্যাল ডিজােইনের ঘড়িগুলো বেশিরভাগ লাক্সারি হয়ে থাকে। যেমন েএখানে দেয়া ছবিটা ক্লাসিক্যাল+লাক্সারি।
জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
Classical ডিজাইনের জন্য জনপ্রিয় কিছু ঘড়ির ব্র্যান্ড আছে যে ব্র্যান্ডগুলো ক্লাসিক্যাল ডিজাইনের ঘড়িগুলোকে যুগের পর যুগ উপস্থাপন করে আসছে।
এই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে Fossil, Tissot, Citizen.
- Fossil - এরা প্রায় দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাসিক ডিজাইনের ঘড়ি তৈরি করে আসছে। আপনি তাদের ওয়েবসাইটে গেলে শুরুতেই ক্লাসিক ঘড়ির ডিজাইন গুলো দেখতে পাবেন।
- Tissot - এই ব্র্যান্ডটি তো প্রায় ক্লাসিকের বাহিরে তেমন ঘড়িই উৎপাদন করে না।
- Citizen - এরা ক্লাসিক ডিজাইন এর পাশাপাশি অন্য ডিজাইনের ঘড়ি তৈরি করলেও এদের ক্লাসিক ডিজাইনের ঘড়িগুলো অনেক চমৎকার এবং অনেক দামী।
ক্লাসিকাল ডিজাইনের ঘড়ির দাম
সাধারণত ক্লাসিকাল ডিজাইনের ঘড়িগুলো অনেক ব্র্যান্ড তৈরি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে সবগুলো ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানা সম্ভব না হওয়ায় আমি এই দাম নির্ণয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করেছি।
এবং ক্লাসিকাল ডিজাইনের ঘড়ির দাম আনুমানিক ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত আছে।
তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে যে এই ঘড়িগুলোর দাম আরো বেশি হতে পারে। কারণ টিসট ব্যান্ডের ঘড়িগুলো অনেক দামি।
স্পোর্টস ডিজাইন
স্পোর্টস ডিজাইন এর ঘড়িগুলো অনেক মজবুত ডিজাইনে তৈরি করা হয়। যাতে করে আপনার স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটির সময় এই ঘড়িগুলোর কোন ক্ষতি না হয়।
আমরা সাধারণত জগিং করার সময় কিংবা সাইকেল চালানোর সময় কিংবা হাটাহাটির সময় যে ট্র্যাকার গুলি গুলো ব্যবহার করি ওগুলোই মূলত স্পোর্টস ডিজাইনের ঘড়ি।
এই ঘড়িগুলো অনেক টেকসই হয়ে থাকে যেটাকে আমরা লং লাস্টিং বলে থাকি। মানে আপনি অনায়াসে অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন এই ঘড়িগুলো।
তবে এই ঘড়িগুলো দুর্দান্ত স্টাইলিশ হয়ে থাকে। এবং এই ঘড়িগুলোর ফ্রেম দেখলে আপনার এত ভালো লাগবে যেটা বলার বাহিরে।
এজন্য এই গুলি গুলো স্পোর্টসম্যান এবং ব্যায়ামকারিগনদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তবে ইদানিং রেগুলার ব্যবহার করার জন্য ও এই ঘরগুলো ব্যবহারিত হয়ে থাকে।
মানে সাধারণ মানুষ জন ও এখন এই ঘড়িগুলো ব্যবহার করে থাকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে।
এবং এগুলো খুবই আরামদায়ক হয়ে থাকে সেই সাথে যে কোন হাতে এই ঘড়িগুলো খুব সুন্দর ভাবে মানায়।
জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
এই ঘড়িগুলোর ক্যাটাগরিতে জনপ্রিয় অনেকগুলো ব্র্যান্ড আছে। এর মধ্যে আপনার এবং আমার সবচেয়ে পরিচিত ব্র্যান্ড ক্যাসিও ও এই ব্র্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়াও আছে Seiko, Garmin ইত্যাদি ব্র্যান্ডের স্পোর্টস ডিজাইনার ঘড়ি।
- Casio G-Shock - সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্পোর্টস ডিজাইনের ঘড়ির ক্ষেত্রে ক্যাসিও ঘড়ি সবার উপরে থাকবে। কারণ এই ঘড়িগুলো ব্যবহার যারা করেছে তারা হয়তো জানেন যে এই ঘড়িগুলো খুবই মজবুত হয়ে থাকে। তাই আপনার ব্যায়াম কিংবা খেলাধুলার ক্ষেত্রে এই ঘড়িগুলো ব্যবহার করলে অনেক টেকসই হবে।
- Seiko - এই ব্র্যান্ডের নাম শুনতে যতটা আপনার কাছে উদ্ভট লাগতে পারে ঠিক বিপরীতে ততটাই আকর্ষণীয় এই ব্র্যান্ডের স্পোর্টস ডিজাইনের ঘড়ি আছে।
- Garmin - ফিটনেস এবং হেলথ ট্রাকিং এর জন্য Garmin ব্র্যান্ডের ঘড়িগুলো খুবই জনপ্রিয়। এবং এরা বেশিরভাগ ঘড়ি তৈরি করে ফিটনেস এবং হেলথ ট্রাকিং টার্গেট করে।
স্পোর্টস ডিজাইনের ঘড়ির দাম
এসব ডিজাইন এর ঘড়ির ক্ষেত্রে কিছু কিছু পড়ে আছে যেগুলো রেগুলার ব্যবহারের জন্য অল্প দামে পাওয়া যায়।
তবে অল্প দাম বলতে মোটামুটি ৫ হাজারের উপরে ঘড়িগুলো আমাদের দেশে একটু ভালো হয়ে থাকে।
কিন্তু এই ঘড়িগুলোর একটা গড় দাম যদি সিলেক্ট করা হয় সেক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে ক্যাসিও গড়ে গুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গড় দাম সিলেক্ট করলেও বাস্তবে এর দাম আরো বেশি হয়ে থাকে।
লাক্সারি ডিজাইন
আমরা যদি লাক্সারি ডিজাইনের ঘড়িগুলোর ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই সেক্ষেত্রে অনেকের কাছে নতুন হতে পারে।
কিন্তু এই ঘড়িগুলোর দাম সম্পর্কে যদি আমরা জানার চেষ্টা করি সেক্ষেত্রে এটা মোটেও নতুন হবে না।
কারণ লাক্সারি ডিজাইনের ঘড়িগুলোর দাম অনেক এক্সপেন্সিভ বা ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।
এই ঘড়িগুলো সাধারণত বিশেষ ব্যক্তিরা বা যাদের বিশেষ শখ আছে তারা ব্যবহার করে থাকেন।
যেমন মনে করেন কেউ প্রতিনিয়ত ঘড়ি ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে তার লাক্সারি একটা ঘড়ি ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগতে পারে।
অথবা কেউ প্রতিনিয়ত না ব্যবহার করলেও তার একটা দামী ঘড়ি কেনার শখ থাকে সেক্ষেত্রে তারা লাক্সারি ঘড়ি ব্যবহার করে থাকে।
আর যাদের টাকা আছে তাদের তো কথাই নেই। যাইহোক লাক্সারি ঘড়ি অনেক দামী হওয়ায় এটা অহরহ সবার হাতে দেখা যায় না।
এছাড়াও একটা কথা বলে রাখি যে বিভিন্ন লাক্সারি ডিজাইন ঘড়িগুলোতে গোল্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তাই স্বাভাবিকভাবে এই ঘড়িগুলোর দাম অনেক বেশি হবে। এই ঘড়িগুলো সাধারণত বিভিন্ন বিশেষ অনুষ্ঠানে মানুষজন পড়ে থাকে।
জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
লাক্সারি টাইপের ঘড়িগুলো সাধারণত তেমন বেশি ব্র্যান্ড উৎপাদন করে না। কারণ এই ঘড়িগুলো অনেক দামী এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় তেমন কোম্পানি এগুলোর উৎপাদন করে না।
তবে লাক্সারি ঘড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নামিদামি কোম্পানি হচ্ছে রোলেক্স। এবং আপনি যদি রোলেক্স ঘড়ির কথা চিন্তা করেন তাহলে এই ঘড়িগুলোর সর্বনিম্ন দাম ও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
লাক্সারি ঘড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে রোলেক্সের পাশাপাশি অন্যান্য ব্র্যান্ড ও আছে যেমন Omega, Patek Philippe ইত্যাদি।
- Rolex - ঘড়ির বাজারে সবচেয়ে বেশি দখল করা মার্কেট রয়েছে রোলেক্স এর হাতে। এবং তাদের উৎপাদিত প্রতিটা ঘড়ি অনেক দামী হয়ে থাকে।
- Omega - এই ব্র্যান্ডটি এক্সপেন্সিভ ঘড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেক আগ থেকে পরিচিত। ইদানীং দেখেছি যে তারা তাদের ঘড়ির বেল্টে (ফিতায়) ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করছে।
- Patek Philippe - এদের ঘড়িগুলোর ডিজাইন সব সময় অন্যরকম লেভেলে থাকে। আপনি যখন এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন তখন আপনি প্রতিটা ডিজাইন দেখতে পারবেন।
লাক্সারি ডিজাইনের ঘড়ির দাম
আমরা যদি রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়ি ব্যতীত অন্য ব্র্যান্ডগুলোর ঘড়ির দাম দেখিয তাহলে আপনি ন্যূনতম ভালো মানের একটা লাক্সারি ডিজাইনের ঘড়ি ব্যবহার করতে চাইলে আপনার কাছে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে।
এবং লাক্সারি ডিজাইনের ঘড়িগুলোর দাম সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে 10 লক্ষ টাকার উপরেও অনেক ঘড়ি থাকলেও সেই ক্ষেত্রে খুব কম মডেলের ঘড়ি দেখা যায়।
কমন ঘড়িগুলো ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকার ভিতরে পাওয়া যায়।
স্মার্ট ওয়াচ
বর্তমানে স্পোর্টস ডিজাইনের ঘড়িগুলোর পরপরই বাজারে জনপ্রিয়তা পায় স্মার্টওয়াচের। স্মার্ট ওয়াচ গুলোতে হেলথ ট্রাকিংয়ের পাশাপাশি স্টেপ ট্রাকিকং এবং এডভান্স লোকেশন আছে।
এবং বর্তমানে লোকেশন গুলো এত উন্নত যে আপনি কোথায় কোথায় হেঁটেছেন এবং কোন কোন এরিয়ার মধ্যে অবস্থান করেছেন তার একটা ম্যাপ তৈরি করে দেয়।
এই স্মার্টওয়াচগুলো মোবাইলের সাথে কানেক্ট করা যায়। যার ফলে যে কোন কল রিসিভ করা থেকে শুরু করে গান শোনা কিংবা ফটো তোলা সম্ভব।
এবং একটু দামে স্মার্টওয়াচগুলোর ব্যাটারি ব্যাকআপ ও খুব ভালো পাওয়া যায়। এছাড়াও বর্তমানে অনেক আকর্ষণীয় ডিজাইন নিয়ে স্মার্টওয়াচগুলো তৈরি করা হয়।
এই স্মার্ট ওয়াচ গুলো সংযোগ করা হয় মূলত ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই এর মাধ্যমে। আবার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ডিভাইস গুলো কন্ট্রোল এর জন্য আলাদা অ্যাপস থাকে।
যার ফলে এখনকার সময়ে যারা স্পোর্টস ডিজাইনের কথা চিন্তা করে তারা বেশিরভাগই এখন স্মার্ট ওয়াচ কিনে থাকে।
জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
এই স্মার্ট ওয়াচ গুলোর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এর তালিকায় আছে জনপ্রিয় মোবাইল কোম্পানিগুলো। এখনকার সময় প্রতিটা মোবাইল কোম্পানি মোবাইলের পাশাপাশি স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে কাজ করছে।
এর মধ্যে আপনার আমার সবচেয়ে পরিচিত মোবাইল কোম্পানি অ্যাপল নিয়মিত স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে কাজ করছে।
এবং বাজারে তাদের বেশ কয়েকটা স্মার্টওয়াচ আছে। বেশ কিছুদিন আগেও তাদের নতুন একটা স্মার্ট ওয়াচ রিলিজ হয়েছে।
Apple Watch এর পাশাপাশি আছে Samsung Galaxy Watch, Garmin ইত্যাদি
- Apple Watch - অ্যাপলের ওয়াচগুলো সাধারণত তাদের মোবাইল এর মত ধারাবাহিক সিরিয়ালে হয়ে থাকে। এবং মোবাইলের মতোই তাদের স্মার্টওয়াচ গুলো অনেক দামি।
- Samsung Galaxy Watch - samsung galaxy স্মার্টওয়াচ গুলো ডিজাইন অত্যন্ত সুন্দর। দাম বলা চলে প্রায় অ্যাপলের কাছাকাছি। এবং এই স্মার্টওয়াচ গুলো ও অত্যন্ত জনপ্রিয়।
- Garmin - এই ব্র্যান্ডটি সম্পর্কে আমরা স্পোর্টস ডিজাইনের ঘড়িতে আলোচনা করেছি। এই কোম্পানি মূলত স্মার্ট টাইপের ঘড়িগুলোর দিকে বেশি নজর দিয়ে থাকে। এমনকি বাচ্চাদের জন্য ও আলাদা ডিজাইন করে থাকে এরা।
স্মার্টওয়াচ ঘড়ির দাম
এখানে যেহেতু apple এবং Samsung এর মত কোম্পানিগুলোই স্মার্টওয়াচ তৈরি করে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে দাম একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তবে এভারেজ দাম হিসাব করলে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টওয়াচ কেনা যায়।
তবে Samsung এবং অ্যাপেলের স্মার্ট ওয়াচ গুলো ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শেষ কথাঃ
আপনি যদি একটা ঘড়ি নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার হাতে অনেকগুলো অপশন থাকতে পারে। তবে আপনার পছন্দের কোন ব্র্যান্ড বা ডিজাইন থাকলে ভিন্ন কথা।
তবে আপনারা ঘড়ি নেওয়ার সময় সব সময় আপনাদের বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঘড়ি কিনতে পারেন।
আর বেশি বাজেটের ঘড়ি কেনার সময় ঘড়ির ব্র্যান্ড, ডিজাইন এবং কোয়ালিটির দিকে নজর রাখবেন।
আশা করি আপনারা ছেলেদের ঘড়ির ডিজাইন ও দাম সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এবং এই পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ!
আর বেশিরভাগ ঘড়িই আপনি দারাজ থেকে কিনতে পারবেন।
0 Comments